সড়ক ও মহাসড়কে সবজিসহ অন্যান্য পণ্যবাহী ট্রাক হতে অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলনের সময় হাতেনাতে ৫১ জন চাঁদাবাজকে রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন স্থান হতে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব; চাঁদাবাজির লক্ষাধিক টাকা ও বিভিন্ন আলামত উদ্ধার।
র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন, র‌্যাব এলিট ফোর্স হিসেবে আত্মপ্রকাশের সূচনালগ্ন থেকেই বিভিন্ন ধরণের অপরাধ নির্মূলের লক্ষ্যে অত্যন্ত আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করে আসছে। সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ নির্মূল ও মাদকবিরোধী অভিযানের পাশাপাশি খুন, চাঁদাবাজি, চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাই চক্রের সাথে জড়িত বিভিন্ন সংঘবদ্ধ ও সক্রিয় সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যদের গ্রেফতার করে সাধারণ জনগণের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে র‌্যাবের জোরালো তৎপরতা অব্যাহত আছে।

সাম্প্রতিক সময়ে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় খুচরা সবজি বাজারে অধিক দামে সবজি বিক্রয়ের ব্যাপারে জনমনে অসন্তোষ পরিলক্ষিত হয়। যেখানে পাইকারী বাজার এবং খুচরা বাজারে সবজির মূল্যে তারতম্য দেখা যায়। পণ্য উৎপাদনের স্থান হতে পাইকারী বাজারে পরিবহনের সময় দেশের বিভিন্ন সড়ক ও মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে ধাপে ধাপে চাঁদা দেয়ার কারণে পাইকারী বাজারে এসে বেড়ে যাচ্ছে সবজির দাম। যার মাশুল গুনতে হয় সাধারণ ক্রেতাদের। সাম্প্রতিককালে পণ্যবাহী পরিবহনে চাঁদাবাজির বিষয়টি ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে প্রচারিত হওয়ায় দেশব্যাপী আলোচিত হচ্ছে। এই সমস্যা সমাধান কল্পে চাঁদাবাজদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে র‌্যাব।

এরই ধারাবাহিকতায় গত রাতে র‌্যাব-২ ও র‌্যাব-৩ এর আভিযানিক দল রাজধানীর কাওরান বাজার, বাবুবাজার, গুলিস্তান, দৈনিক বাংলা মোড়, ইত্তেফাক মোড়, টিটিপাড়া, কাজলা, গাবতলী ও ডেমরা স্টাফ কোয়ার্টারসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে সংঘবদ্ধ পণ্যবাহী গাড়িতে চাঁদাবাজ চক্রের সক্রিয় সদস্য ১। মোঃ জাবেদ (৩৬), পিতা-মোঃ হানিফ, থানা-ডেমরা, ডিএমপি, ঢাকা, ২। মোঃ আরিফ (৩৩), পিতা-মৃত শাহজাহান মিয়া, থানা-মেহেন্দীগঞ্জ, জেলা-বরিশাল, ৩। আবুল হোসেন (২৭), পিতা-আবু তাহের, থানা-লাঙ্গলকোট, জেলা-কুমিল্লা, ৪। মোঃ বিল্লাল হোসেন (১৯), পিতা-মৃত মনির, থানা-মতলব, জেলা-চাঁদপুর, ৫। মোঃ আলী হোসেন (৩১), পিতা-শুক্কুর মিয়া, থানা-হোমনা, জেলা-কুমিল্লা, ৬। মোঃ রাকিব হাসান (২৮), পিতা-মোর্শেদ মিয়া, থানা-যাত্রাবাড়ী, ঢাকা, ৭। মোঃ ফালান মিয়া (৩৫), পিতা-আবেদ আলী, থানা-চান্দিনা, জেলা-কুমিল্লা, ৮। মোঃ সাকিব আলী (২২), পিতা-মোর্শেদ আলী, জেলা-শেরপুর, ৯। মোঃ বাবলু (৪৫), পিতা-বাবুল, থানা-গেন্ডারিয়া, ঢাকা, ১০। মোঃ রাজা (৪০), পিতা-মোঃ ইশহাক হোসেন, থানা-গেন্ডারিয়া, ঢাকা, ১১। মোঃ শামীম ইসলাম (২২), পিতা-সমশের আলী, থানা-সৈয়দপুর, জেলা-নীলফামারী, ১২। মোঃ মাসুদ (৪০), পিতা-শরাফত আলী, থানা-ফরিদগঞ্জ, জেলা-চাঁদপুর, ১৩। মোঃ ইমন হোসেন (১৮), পিতা-নীরব হোসেন, থানা-কাঠালিয়া, জেলা-বরিশাল, ১৪। কাওসার ওেয়ান (১৭), পিতা-বজলু দেওয়ান, থানা-মতলব, জেলা-চাঁদপুর, ১৫। জাহিদ হাসান (২৪), পিতা-দুলাল হাওলাদার, থানা-ভান্ডারী, জেলা-পিরোজপুর, ১৬। মোঃ সুমন (৪০), পিতা-মোঃ রফিক, থানা-মতলব, জেলা-চাঁদপুর, ১৭। আক্তার হোসেন (৪৬), পিতা- মৃত কাবিল হোসেন, থানা- গজারিয়া, জেলা- মুন্সিগঞ্জ, ১৮। মোঃ সেলিম হোসেন (৪২), পিতা- ফারুক হোসেন, থানা- কাপাসিয়া, জেলা- গাজীপুর, ১৯। মোঃ শহিদ (৩৯), পিতা- আমিন মোল্ল্যা, থানা- মুন্সিগঞ্জ, জেলা- মুন্সিগঞ্জ, ২০। মোঃ মানিক (৩৭), পিতা- মোঃ হান্নান মিয়া, থানা- যাত্রাবাড়ি, ঢাকা, ২১। আবুল কাশেম (৪০), পিতা- আব্দুল জাহেদ, থানা- কিশোগঞ্জ, জেলা-কিশোরঞ্জ, ২২। তামজিদ হোসেন (৩০), পিতা- আবুল বাশার, থানা- ওয়ারী, ঢাকা, ২৩। জহির হোসেন (৪৫), পিতা- মৃত শামসুল হক, থানা-চাঁদপুর, জেলা- চাঁদপুর, ২৪। মোঃ শফিক (৩৬), পিতা- মৃত সাদেক আলী, থানা-ওয়ারী, ঢাকা, ২৫। মোঃ সাদ্দাম হোসেন(৩০), পিতা-মৃত শাহ আলম, থানা- নবাবগঞ্জ, ঢাকা, ২৬।  মোঃ সোহেল (৩৮), পিতা- মৃত আলী উদ্দিন, থানা- গেন্ডারিয়া, ঢাকা, ২৭। নাদিম খান বাদল( ৩৫), পিতা- জালাল খান, থানা-ওয়ারী, ঢাকা, ২৮। মোঃ ফারদিন (২১), পিতা- সুজন হোসেন, থানা-চকবাজার, ঢাকা, ২৯। মোঃ বিল্লাল (২৬), পিতা- আব্দুর রহিম, থানা-কেরানীগঞ্জ, জেলা- কেরানীগঞ্জ, ৩০। মোঃ শামসুল (৫০), পিতা- মৃত শহিদুল রহমান, থানা- ইসলামপুর, জেলা- জামালপুর, ৩১। মোঃ আরিব হোসেন (২৫), পিতাÑ মোঃ ইদ্রিস, থানা- তজিমউদ্দিন, জেলা- ভোলা, ৩২। মোঃ সেলিম (৩২), পিতা-আব্দুর রহিম, জেলা-মুন্সিগঞ্জ, ৩৩। মোঃ জসিম (২৪), পিতা-মোঃ আমির হোসেন, থানা-বড়–য়া, জেলা-কুমিল্লা, ৩৪। মোঃ মাহবুব (১৮), পিতা-মাসুদ, থানা-ফরিদগঞ্জ, জেলা-চাঁদপুর, ৩৫। মোঃ মোহসিন (৪২), পিতা-মৃত নুরুল ইসলাম, থানা-টুঙ্গিবাড়ী, জেলা-মুন্সগঞ্জ, ৩৬। মোঃ ফারুক (৪০), পিতা-আলী হোসেন, থানা-হেমচর, জেলা-চাঁদপুর, ৩৭। মোঃ বিপ্লব (৩৫), পিতা-মৃত বসির, ঢাকা, ৩৮। মোঃ রাজিব (২৬), পিতা-জাহাঙ্গীর, থানা-কেরানীগঞ্জ, জেলা-ঢাকা, ৩৯। মোঃ জমির (৫০), পিতা-মৃত আব্দুল সোবহান, ঢাকা, ৪০। মোঃ অজল হক (৩৮), পিতাঃ মৃত রবিউল হক, থানাঃ সাভার, জেলাঃ ঢাকা, ৪১। মোঃ আতিউর রহমান (১৮), পিতাঃ মোঃ হাবিবুর রহমান, থানাঃ দারুস সালাম, জেলাঃ ঢাকা, ৪২। মোঃ অলি (৪৫), পিতাঃ মৃতঃ হযরত, থানাঃ দারুস সালাম, জেলাঃ ঢাকা, ৪৩। মোঃ সালাউদ্দিন (৪৫), পিতাঃ মৃতঃ আফরোজ মিয়া, থানাঃ দারুস সালাম, জেলাঃ ঢাকা, ৪৪। মোঃ ইউনুস (৪০), পিতাঃ মোঃ জালাল খান, থানাঃ দারুস সালাম, জেলাঃ ঢাকা, ৪৫। মোঃ কবির (৩০), পিতাঃ মোঃ সিদ্দিক, থানাঃ দারুস সালাম, জেলাঃ ঢাকা, ৪৬। মোঃ সাদ্দাম হোসেন(৩০), পিতাঃ মোঃ আলমগীর হোসেন, থানাঃ গোদাগাড়ী,  জেলাঃ রাজশাহী, ৪৭। মোঃ শহিদুল ইসলাম (২৭), পিতাঃ মোঃ তোফাজ্জল হোসেন, থানাঃ অষ্টগ্রাম, জেলাঃ কিশোরগঞ্জ, ৪৮। মোঃ সজিব শেখ (১৮), পিতাঃ রাসেল শেখ, থানাঃ সিরাজগঞ্জ, জেলাঃ সিরাজগঞ্জ, ৪৯। মোঃ আব্দুর রহমান (২৩), পিতা ঃ ইউনুস শেখ, সদর, নড়াইল, ৫০। মোঃ মাসুদ (৩১), পিতাঃ সোনা মিয়া গাজি, সদর, চাঁদপুর, ৫১। মোহাম্মদ এনতা (), পিতাঃ মৃত সাবেত আলী, সদর, লালমনিরহাটদেরকে গ্রেফতার করা হয়। উদ্ধার করা হয় চাঁদা আদায়ের নগদ ১১২৩০৬/-টাকা, ০১টি লেজার রশ্মির লাইট, ০৬টি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের জ্যাকেট, ০২টি অন্যান্য লাইট, ০৪টি আইডি কার্ড, ৪১টি মোবাইল এবং বিপুল পরিমান চাঁদা আদায়ের রশিদ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা উক্ত চাঁদাবাজির সাথে তাদের সম্পৃক্ততার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করে।

 গ্রেফতারকৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, তারা রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক ও মহাসড়কে পণ্যবাহী গাড়িতে চাঁদাবাজি করে। গ্রেফতারকৃতরা তথাকথিত ইজারাদারদের নির্দেশে কয়েকটি গ্রæপে বিভক্ত হয়ে প্রতি রাতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় রাস্তার উপর অবস্থান নেয়। দেশের বিভিন্ন স্থান হতে পণ্যবাহী যানবাহন রাজধানীতে প্রবেশের সময় তারা লেজার লাইট, লাঠি ও বিভিন্ন সংকেতের মাধ্যমে গাড়ি থামিয়ে ড্রাইভারদের নিকট অবৈধভাবে চাঁদা আদায় করে থাকে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে তারা চাঁদা আদায়ের রশিদও প্রদান করে থাকে। ড্রাইভাররা তাদের চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে তাদের গাড়ি ভাংচুর, ড্রাইভার-হেলপারকে মারধর সহ প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করে। তারা প্রতিটি ট্রাক ও পণ্যবাহী যানবাহন হতে ২০০-৩০০ টাকা চাঁদা আদায় করে থাকে। পণ্যবাহী কোন গাড়ি দেখলেই তারা লেজার লাইটের আলো নিক্ষেপ করে তা থামিয়ে কৌশলে বিভিন্ন অজুহাতে চাঁদা আদায় করে থাকে। বিশেষ করে মধ্য রাতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় যখন পণ্যবাহী ট্রাক ঢাকা প্রবেশ করে উক্ত সময় সড়কে এমন চিত্র শুরু হয়। গ্রেফতারকৃতরা প্রতি রাতে চাঁদা আদায় করে ইজারাদারদের নিকট প্রদান করে। চাঁদা আদায়ের জন্য ইজারাদারগণ গ্রেফতারকৃত প্রত্যেককে প্রতি রাতে ৬০০-৭০০ টাকা মজুরী প্রদান করতো বলে জানায়। উক্ত চক্র রাজধানীর বিভিন্ন স্থান হতে প্রতি রাতে পণ্যবাহী গাড়ির চালকদের নিকট হতে লক্ষাধিক টাকা চাঁদা আদায় করে থাকে বলে জানা যায়।

গ্রেফতারকৃত সেলিম এর নেতৃত্বে গ্রেফতারকৃত হানিফ, মানিক, সাদ্দাম ও রাজা রাজধানীর ইত্তেফাক ও সায়েদাবাদ এলাকায় পণ্যবাহী গাড়িতে চাঁদা আদায় করে থাকে। তথাকথিত ইজারাদার গ্রেফতারকৃত সেলিম ও তার সহযোগী আসামিদের চাঁদাবাজি করার জন্য নিয়োগ করে। তারা ইজারার নির্ধারিত স্থান ছাড়াও রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় পণ্যবাহী গাড়িতে চাঁদাবাজি করে থাকে। তারা প্রতি রাতে পণ্যবাহী গাড়ির ড্রাইভারদের নিকট হতে চাঁদা আদায় করে তথাকথিত ইজারাদারের নিকট হস্তান্তর করে থাকে। চাঁদাবাজির কাজে গ্রেফতারকৃত সেলিম এর প্রধান সহযোগী গ্রেফতারকৃত হানিফ।

গ্রেফতারকৃত সুমন এর নেতৃত্বে গ্রেফতারকৃত রাজিব, বাবলু, ফলহান ও জাহিদ রাজধানীর গোলাপবাগ এলাকায় পণ্যবাহী গাড়িতে চাঁদা আদায় করে থাকে। তারা গোলাপবাগ এলাকায় দীর্ঘ ৪ বছর যাবৎ পণ্যবাহী গাড়িতে চাঁদা আদায় করে আসছে। প্রতি রাতে পণ্যবাহী গাড়ি থেকে চাঁদা আদায়ের টাকা সায়েদাবাদ এলাকার তথাকথিত ইজারাদারের নিকট প্রদান করে থাকে বলে জানা যায়। চাঁদা আদায়ের জন্য কামাল প্রতি রাতে তাদের প্রত্যেককে ৭০০-১০০০ টাকা মুজুরী বাবদ প্রদান করতো বলে জানায়। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় চাঁদা আদায়ের জন্য ইজারাদারদের একাধিক কর্মচারী নিয়োগ করা রয়েছে বলে গ্রেফতারকৃতরা জানায়।

গ্রেফতারকৃত কাউছার এর নেতৃত্বে গ্রেফতারকৃত মাসুদ, শামীম ও ইমন রাজধানীর কাজলা এলাকায় পণ্যবাহী গাড়িতে চাঁদা আদায় করে থাকে। তারা কাজলা এলাকায় তথাকথিত ইজারাদারের নিয়োগকৃত কর্মচারী বলে জানায়। তারা পণ্যবাহী গাড়িতে চাঁদা আদায় করে তার নিকট প্রদান করে। চাঁদা আদায়ের জন্য গ্রেফতারকৃত প্রত্যেককে প্রতি রাতে ৫০০-৬০০ টাকা মুজুরী বাবদ প্রদান করা হয়ে থাকে বলে জানায়।

গ্রেফতারকৃত জাবেদ এর নেতৃত্বে গ্রেফতারকৃত আবুল হোসেন, আরিফ, বিল্লাল, আলী হোসেন ও সজীব রাজধানীর ডেমরা স্টাফ কোয়ার্টার এলাকায় পণ্যবাহী গাড়িতে চাঁদাবাজি করে থাকে। উক্ত এলাকা কারো নিকট ইজারা দেয়া না থাকলেও সেখানে তারা নিয়মিত পণ্যবাহী গাড়ি হতে চাঁদা আদায় করে আসছে। আদায়কৃত চাঁদার টাকা তারা সায়েদাবাদ এলাকার ইজারাদারের নিকট প্রদান করে থাকে। চাঁদা আদায়ের জন্য ইজারাদার গ্রেফতারকৃত প্রত্যেককে প্রতি রাতে ৫০০-৭০০ টাকা দিয়ে থাকে।

গ্রেফতারকৃত মোহসিন এর নেতৃত্বে আকতার, ফারুক, বিপ্লব, রাকিব, জমির, আবির, শামসুল ও বিল্লাল একসাথে গুলিস্তান ও বাবু বাজার এলাকায় পণ্যবাহী গাড়িতে চাঁদা আদায় করে থাকে। তাদের দলে একাধিক সদস্য রয়েছে বলে জানায়।

গ্রেফতারকৃত জহির এর নেতৃত্বে গ্রেফতারকৃত সোহেল, তামজিদ, শফিক, কাশেম ও সাদ্দাম কারওয়ান বাজার এলাকায় পণ্যবাহী গাড়িতে চাঁদা আদায় করে থাকে। তাদের দলে একাধিক সদস্য রয়েছে। তারা রোস্টার করে ডিউটি বন্টন করে চাঁদা আদায় করে বলে জানা যায়।

গ্রেফতারকৃত সালাউদ্দিন এর নেতৃত্বে গ্রেফতারকৃত কবির, আজল, অলি, আতিউর, ইউনুস ও এনতা দীর্ঘদিন যাবৎ  গাবতলী বাস স্ট্যান্ড হইতে কল্যাণপুর বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত বিভিন্ন পণ্যবাহী পরিবহনে চাঁদা আদায় করতো বলে জানায়। এছাড়াও সাদ্দাম, শহিদুল, সজিব, আব্দুর রহমান ও মাসুদ রাজধানীর কারওয়ান বাজার এলাকায় পণ্যবাহী পরিবহনে চাঁদা আদায় করতো বলে জানায়।

যারা আসন্ন পবিত্র মাহে রমজানকে কেন্দ্র করে অবৈধভাবে পণ্য মজুদ করে কারসাজির মাধ্যমে নিত্যপণ্যের বাজার অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করবে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনাক্রমে র‌্যাব ফোর্সেস ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাসহ তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা করবে। র‌্যাব ফোর্সেস সম্মানিত নাগরিক সমাজকে আহবান জানাচ্ছে যে, যারা কারসাজির মাধ্যমে নিত্যপণ্যের অবৈধ মজুদ করবে তাদের সম্পর্কে তথ্য দিয়ে র‌্যাবকে সহায়তা করুন, এক্ষেত্রে তথ্য প্রদানকারীর পরিচয় গোপন রাখা হবে।

গ্রেফতারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।